ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিস্তা চুক্তির বিষয়ে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিস্তা চুক্তির বিষয়ে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ভারতও চায় বলে জানিয়ে শ্রিংলা বলেছেন, এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত। এ সময় তিনি জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ওড়াকান্দি সফরের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নেই।
শনিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে ভারত বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে এই ইস্যুতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে ভারত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওড়াকান্দি সফরের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরকালে ঢাকার বাইরে যেতে চেয়েছিলেন। সে সময় শিলাইদহ কুঠিবাড়ী, ওড়াকান্দি, সাতক্ষীরা সফরেরও পরিকল্পনা ছিল। তবে সময়ের অভাবে তা হয়নি। এবার তিনি ঢাকার বাইরে গেছেন। ঢাকার বাইরে গিয়ে এদেশের সংস্কৃতি দেখা ও জানার চেষ্টা করেছেন। তাই ওড়াকান্দি সফর সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিতে দেখা ঠিক নয়। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ভারতের টিকার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশ ভারত থেকে ৩২ লাখ টিকা উপহার পেয়েছে। ২০১৫ সালের ৬ থেকে ৭ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমবার বাংলাদেশ সফর করেন। এবার তিনি দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ সফরে এলেন। দুদিনের সফর শেষে শনিবার রাত ৯টায় তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।