সারাদেশে প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ কাঁকড়া চাষ ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বাগেরহাটের চাষীদের উৎপাদিত বেশিরভাগ কাঁকড়া বেশি দামে চীনে রপ্তানি করা হত। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে রপ্তানী বন্ধ হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে চাষী ও ব্যবসায়ীরা। করোনাকালে বাগেরহাটের চাষীদের শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের কারণে চীনে কাঁকড়া রপ্তানি বন্ধ ও দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছেন চাষীরা। বড় লোকসানের মুখে বাগেরহাট জেলার প্রায় ৬ হাজার খামারি চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছেন। দেনগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন চাষী ও কাঁকড়া ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত লক্ষাধিক মানুষ। ব্যা্ংক ঋণ, এনজিও এবং মহাজনদের সুদের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্টরা।তবে মৎস্য বিভাগ জানিয়েছেন এক হাজার ৬৩ জন কাকড়া চাষীকে সহায়তা দিবে সরকার।
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ভাগা গ্রামের কাঁকড়া চাষী পিনাক দাস জানান, “১১ বিঘা জমিতে আমার ৪টি কাঁকড়ার খামার রয়েছে। ৮ লক্ষ টাকা পুজি হারিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। বর্তমানে চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু ব্যাংক ও দাদোনদারদের চাপে বাড়িতে ঘুমানোর সুযোগ নেই”।