চাল-তেলে ভোক্তার কষ্ট দূর হচ্ছে না। ইতোমধ্যেই আমদানিকৃত চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে, তবুও চালের দাম ক্রেতার নাগালে আসছে না। মাঝে কেজিতে ১-২ টাকা কমলেও সেটি আবারও বেড়ে আগের অবস্থানে চলে গেছে। সবচেয়ে ভালো মানের মিনিকেট বা নাজিরশাইল চাল খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৬৮ টাকায়। আর স্বর্ণা বা মোটা চালের কেজি আবারও ৫০ টাকায় ঠেকেছে। তা ছাড়া বাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই, বরং বেড়েই চলেছে। এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম এখন ১৪০ টাকায় ঠেকেছে। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে দাম বেড়েছে ব্রয়লার-সোনালি মুরগির। তবে দাম কমেছে ডিম, পেঁয়াজ ও সবজির। অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে আলু, গরু ও খাসির মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৬৮ টাকা। চাল আমদানির খবরে দিন দশেক আগে চালের কেজি ১-২ টাকা কমেছিল, কিন্তু সেটি বেড়ে এখন আবারও আগের
অবস্থানে চলে গেছে। বাজারে ভালো মানের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৬৮ টাকায়, মাঝারি মানের মিনিকেট ৬০-৬২ টাকায়, বি-আর২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৬ টাকায় ও স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়।
ভোজ্য তেলের বাজারেও একই অবস্থা। বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায়। খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায়। তা ছাড়া পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১২৫ টাকায়। এ ছাড়া সবজির বাজার এখনও ক্রেতার নাগালে রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। এ ছাড়া শালগম বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০, গাজর ৩০, শিম ২০, বেগুন ৩০, করলা ৪০-৫০, ঢেঁড়স ৩০-৪০, পাকা টমেটো ৩০, কাঁচা টমেটো ২৫-৩০ ও বরবটি ৪০-৫০ টাকায়। প্রতি পিস লাউ আকার ভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। ফুলকপি ১৫-২০ , বাঁধাকপি ২০, মিষ্টি কুমড়া কেজি ২০, আলু ২০ ও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া হালিতে ৫ টাকা কমে কলা ১৫-২০ ও জালি কুমড়া ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া আদা প্রতিকেজি ৮০ ও রসুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকায়। ডিমের দাম ৫ টাকা কমে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এ ছাড়া হাঁসের ডিম ১৫৫-১৬০ এবং দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকায়। দাম বেড়ে সোনালি মুরগি (কক) ২২০-২৩০ টাকায় ও ব্রয়লার ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস এবং মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকায়, বকরির মাংস ৭০০-৭৫০, গরুর মাংস ৫৫০ ও মহিষ ৫৫০-৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।