এবার গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। এই পরিমান বিদ্যুৎ উৎপাদনে দৈনিক এক হাজার ৫৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ প্রয়োজন। এখন সেখানে দেয়া হচ্ছে প্রতি দিন ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট। গ্রীষ্মের আগেই আরো ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করাই চ্যালঞ্জিং মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার বিকেলে এনার্জি এন্ড পাওয়ার (ইপি) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ চাহিদা স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সেচ, রমজান এবং গ্রীষ্মে আমাদের চাহিদা বাড়বে। এই সময়ে সর্বোচ্চ যে চাহিদা হবে সেটি কত দিন কত সময়ের জন্য হবে তা নির্ধারণ করতে হবে। তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী বলেন, এটা করা রকার এই কারণে ওই সময়ে আমারে যদি কোন সমস্যা হয় তখন সেটি কিভাবে সমাধান করা যায়। আমাদের এলএনজি আমদানি স্বাভাবিক রাখতে আমরা স্পট মার্কেট থেকে দুই লট এলএনজি কিনেছি। আশা করছি স্পট মার্কেট থেকে আরো একটি লট এলএনজি কিনবো। কোন সময়ে যি এলএনজি সরবরাহ বেড়ে যায়। তাহলে দেশের গ্যাসের উৎপাদন কমিয়ে দেব। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পিজিসিবির সঙ্গে বৈঠক করেছি। আবার তাদের সঙ্গ আলোচনা করবো কিভাবে সমস্যা সমাধান করা যায়। এছাড়া বিতরণে যে যে সমস্যা আছে তা খুঁজে বের করে সমাধান করা হবে।
এসময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, গ্রীষ্মের মোট চাহিদার মধ্যে ফার্নেস অয়েলে চার হাজার ৫৭০ মেগাওয়াট, কয়লা দিয়ে ৭৫০ মেগাওয়াট, জল এবং সৌর থেকে ৫০ মেগাওয়াট, আমদানি করা হবে এক হাজার ৫০ মেগাওয়াট এবং গ্যাস থেকে সাত হাজার ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। তিনি বলেন, এর জন্য দৈনিক গ্যাস সরবরাহ প্রয়োজন এক হাজার ৫৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। এই পরিমান গ্যাস না পাওয়া গেলে তরল জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। গত গ্রীষ্মে গ্যাসের অভাবে আমাদের তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়েছে।
ওয়েবিনারে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিন আমাদের ৩৩ কেভি লাইন দিয়ে পিজিসিবি লাইন দিয়ে বিদ্যুত নিয়ে ১১ কেভি লাইন দিয়ে গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুত দিয়ে থাকি। আমাগী গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। এখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে আমাদের বিতরণে কোন সমস্যা হবে না। আরইবির জন্য করোনার মধ্যে সাত হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়েছি। এবার মনে করছি আরইবির জন্য সাড়ে আট হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত প্রয়োজন হবে। বিদ্যুতের বিতরণের সব ঠিক থাকলেই হবে না উৎপাদনও ঠিক থাকতে হবে। এজন্য প্রাথমিক জ্বালানির সংস্থান ঠিক রাখতে হবে।